নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি: গর্ভবতী হাতি কে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে পথে নামল আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন। এদিন সংস্থার সদস্যরা চন্দননগর স্টেশন চত্বরে মিলিত হয়ে ঘটনার মৌন প্রতিবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অগস্ট ২০২৪ স্বাধীনতা দিবসের সকালে দুবরাজপুর হয়ে শাবক-সহ পাঁচটি হাতির একটি দল ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকায় ঢুকে পড়ে। বনদপ্তরের সহায়তায় হুলা পার্টির (যারা হাতি তাড়ানোর কাজ করে) লোকেরা হাতি তাড়াতে গিয়ে একটি গর্ভবতী হাতিকে জ্বলন্ত বর্শা ছুঁড়ে মেরে ফেলে।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় হুলা পার্টির দুই সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ -এর ৯ নম্বর ধারায় (বন্যপ্রাণী হত্যা) মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ আগষ্ট চন্দননগর স্টেশন চত্বরে জমায়েত হয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মৌন প্রতিবাদ জানান আশ্রয়ের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হলেও, হাতিদের লোকালয়ে প্রবেশের মূল কারণগুলি চিহ্নিত করে কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ বা সামগ্রিক সামাজিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আশ্রয়ের সভাপতি ভাষ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই সমাজ শুধু মানুষের নয়, শুরু থেকে আমরা সকলে একসঙ্গে আছি পশু পাখি মানুষ সব সুতরাং সবার থাকার জায়গা হচ্ছে এই সমাজ। সেই সমাজ যদি নষ্ট করে দেওয়া হয় তাদের যদি খাবারের ব্যবস্থা না করা হয় তাদের থাকার জায়গা আস্তে আস্তে সংকুচিত করে দেওয়ার ফলে তারা শহরাঞ্চলে দিকে চলে আসে কিন্তু তাদেরকে তাড়িয়ে যাওয়া দেওয়া যেত মারার কোন কারণ ছিল না বিশেষ করে যারা হল্লা পার্টি অর্থাৎ যারা তাদেরকে বাঁচাবে তারাই তাদেরকে হত্যা করেছে।"