নিউজ ডেস্ক - শরীর পক্ষে ঘুমানো খুবই দরকার। ঘুমানোর সময় আপনার শরীরের প্রতিটা অঙ্গ স্থির থাকে এবং মস্তিষ্ক শান্ত হয় যায়।তবে,একজন মানুষের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘুমানো উচিত। সময়ের অধিক ঘুমানো আর অল্প ঘুমানো মানে রোগকে আমন্ত্রণ দেওয়া।তাই একটি নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো উচিত।
যেমন -
১-২ বছরের মধ্যে একটি শিশুর সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ১১-১৪ ঘন্টা ঘুমাতে হয় ।
৩-৫ বছর বয়সীদের ১০.৫-১২.৫ ঘন্টা প্রয়োজন।
৬-৭ বছর বয়সীদের প্রায় ১০.৫ ঘন্টা প্রয়োজন।
৮-১৩ বছর বয়সীদের প্রায় 10ঘন্টা প্রয়োজন।
আবার প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলেও শরীরের ঘুমের চাহিদার তারতম্য হয়। এক্ষেত্রে দেখা যায় ১৮ বছর বয়সের পরে কোনও মহিলা বা পুরুষের কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
কম বা বেশি ঘুমালে কি কি রোগ হতে পারে ??
৬ ঘণ্টার কম সময় ঘুমালে শরীরের একাধিক ক্ষতি হয়। আর এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এক সময়ে তা মানুষের আয়ুর ওপর প্রভাব ফেলে। একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ৬ ঘণ্টা বা তার কম সময় ঘুমালে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
আবার, অত্যধিক ঘুম হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় , এমনকি যারা অন্যথায় স্বাস্থ্যবান তাদের মধ্যেও। দীর্ঘক্ষণ ঘুমানদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।বেশি ঘুমালে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে , যা স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।