নিউজ ডেস্ক - মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের জনসাথ এলাকায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ছয় বছরের দলিত শিশুকে তালাবন্ধ শ্রেণীকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সম্পর্কে জানাজানি হতেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্য এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল প্রাথমিক শিক্ষা দফতর।জানা যাচ্ছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা জৈন এবং ক্লাস টিচার রবিতা রানী ছয় বছর বয়সী প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়াকে শ্রেণীকক্ষে তালা দিয়ে চলে যান। এই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায় করেছে ওই ক্ট্রের পরিবার।
স্কুল ছুটির এক ঘণ্টা কেটে গেলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পড়ুয়ার মা। অন্যান্য ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেলেও তারা কেউ কিছু বলতে পারেনি। শিক্ষকদের অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই পড়ুয়ার মা বলেন, "স্কুলে গিয়ে দেখি সব বন্ধ। একটা ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ পাই। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের সবাইকে বিষয়টা জানাই। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করা হয়। এরপর শিক্ষিকা রবিতা রানীর স্বামী চাবি নিয়ে আসেন।" শিক্ষিকা রবিতা রানীর স্বামীর দাবি, “ওই পড়ুয়া হয়ত ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছিল।" ঘটনার পর বেসিক শিক্ষা অধিকারী সন্দীপ কুমার জানান, গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ব্লক শিক্ষা অধিকারীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার সাথে সাথে এবং শিক্ষিকা রানীকে দেওয়া হয়েছে এডভার্স এন্ট্রি। সন্দীপ বলেছেন, “স্কুলে তালা দেওয়ার আগে ক্লাসরুম ভাল করে দেখে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।" সাসপেনশনের নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা জৈন জানান যে তাঁর সঙ্গে ‘অবিচার’হয়েছে বলে ঘটনার সম্পূর্ণ দায় চাপিয়েছেন ক্লাস টিচার রবিতা রানীর উপর। তিনি বলেন, “ওই ছাত্র ঘুমিয়ে পড়লেও ক্লাসরুমে তালা দেওয়ার আগে দেখে নেওয়া উচিত ছিল।"