নিউজ ডেস্ক - মালদার সামসি-রতুয়া রাজ্য সড়কের কুশরাখা এলাকায় সরকারি ষাঁড় পাচারের চেষ্টায় নাম রয়েছে এক তৃণমূল নেতার। ইতিমধ্যে ষাঁড়গুলি পাচারের আগেই পুলিশ উদ্ধার করে নেয়।রবিবার একটি পিক আপ ভ্যানের সাহায্যে সীমান্তে ষাঁড় পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। আর ওই তৃণমূল নেতার গাড়িতেই হচ্ছিল পাচার। কিন্তু ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সূত্রের খবর, এইদিন যার গাড়িতে ষাঁড় পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল তিনি হলেন সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আমির হোসেন। বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারের পথে পুলিশ পিক আপ ভ্যানটিকে আটক করে গাড়ি থেকে তিনটি ষাঁড় উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশি অভিযানে পালিয়ে যায় ওই পিকআপ ভ্যানের চালক।
তবে গরু পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা আমির হোসেন। তিনি দাবি করেছেন, কী উদ্দেশ্যে, কোথায়+ ষাঁড়গুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সে বিষয় তিনি কিছুই জানেন না। গাড়িটি তাঁর ঠিকই কিন্তু গাড়িটি কবে কোথায় ভাড়া দেওয়া হয় সে সব বিষয় তাঁর চালকই ঠিক করেন। যদিও পলাতক গাড়ি চালকের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
আবার গরু পাচারের ঘটনায় বিজেপি সরব হয়ে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য অভিষেক সিংহানিয়া বলেন, "আমির বাবু গরু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। যে তিনটি ষাঁড় পাচার করা হচ্ছিল সেগুলি সরকারি। আমরা জানতে পেরেছি বিহার এবং এই অঞ্চল থেকে সরকারি ষাঁড়, গরু রীতিমতো চুরি হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করুক। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তাতে স্পষ্ট তৃণমূলের সব নেতারা গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত।"