বুধবার থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। যার ফলে মন্দাকিনী নদীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে। এই বৃষ্টির জেরে কেদারনাথ যাওয়ার পথে ভীম বালি এলাকার ৩০ মিটার রাস্তা ধুয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে আপাতত চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কংক্রিটের একাধিক সেতু। ইতিমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু এবং নিখোঁজ অন্তত ৩০ হয়েছেন। তাঁদের তল্লাশি চলছে।
আবার ,হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরাখণ্ডের সাতটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণের জেরে রাজ্যের দু-এক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বৈঠক সেরেছেন। সরকারি কর্মীদের সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মতোই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে হিমাচলপ্রদেশেরও। প্রবল বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে গেছে বিপাশা নদীর। সবচেয়ে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সিমলা, মান্ডি ও কুল্লুর। ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মান্ডি থেকে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ৫০ জনের মতো। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪টে দল মোতায়েন করা হয়েছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেই উদ্ধারকাযে ব্যাহত হচ্ছে। হাওয়া অফিস বলছে, টানা বৃষ্টি চলবে।