নিউজ ডেস্ক - তিলোত্তমার সুবিচারের জন্য ১৪ আগস্টের রাতে আরজি কর হাসপাতালের সামনে বিপুল জমায়েত করেছিলেন হাজার হাজার মানুষ।কিন্তু রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ হঠাৎ আন্দোলনের মধ্যে চালু হয় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে। হাসপাতালে হঠাৎই চড়াও হয়ে একদল দুষ্কৃতী ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে প্রবেশ করে প্রচুর ভাঙচুর করে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে।
জানা যাচ্ছে , হাসপাতালে ঢুকে প্রথমেই এমার্জেন্সি বিল্ডিং থেকে শুরু করে দ্বিতীয় তলা অবধি ভাঙচুর চালানো হয়। এমার্জেন্সি ওয়ার্ড, নার্সিং স্টেশন সমস্ত কিছু ভেঙে দেওয়া হয়। আবার এরই সাথে, যেখানে তিলোত্তমার উপরে অত্যাচার করা হয়েছিল,সেই সেমিনার হলেও ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ওই জায়গায় দুষ্কৃতীরা পৌঁছতে পারেনি ।
রাতভর আরজিকর হাসপাতালে ভাঙচুরের পর সকালে যে সমস্ত নার্সরা ডিউটিতে আসেন, তারা কার্যত অবাক হয়ে যান হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপ দেখে। তারা জানান, ওয়ার্ড ও নার্সিং স্টেশনে রাখা দামী ওষুধপত্র মাটিতে পড়েছিল।আর চিকিৎসা সামগ্রী, রোগীদের বেডও ভাঙচুর করা হয়েছে। ফলে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকেই চিকিৎসা সরঞ্জাম খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের দাবি, এই ভাঙচুরের ফলে সাধারণ মানুষদেরই ক্ষতি হয়েছে।হাসপাতালের সাথে সাথে, ভাঙচুর এবং হামলা করা হয়েছে পুলিশের উপরও। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশও লুকিয়ে পড়ে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, উল্টে দেওয়া হয়েছে।