নিউজ ডেস্ক : আরজি কর কাণ্ডে বিরোধী দলের উপর অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গেছিলেন তো আরজি করে প্রমাণ লুঠ করতে। রাতের বেলায়। কিন্তু ভুলক্রমে, ছোট্ট একটা ভুলে থার্ড ফ্লোর বলে সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গিয়েছিলেন। আমি প্রেসের থেকে শুনেছি। সেখানে গিয়ে দুটো ফ্লোর ভাঙচুর করেছেন। জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট করেছেন। আপনারা জানেন না একটা হাসপাতাল তৈরি করতে রোগীর জন্য কত টাকা লাগে। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটিও হতে পারে। দেবেন তো টাকাটা সিপিএম-বিজেপির বন্ধুরা?
যার পাল্টা উত্তর দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পা-টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন ওঁ। একটা সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ তো রয়েছে তাঁর। চিৎকার করে বলে বেড়াচ্ছেন রাম-বাম, বাম-রাম। রাম-বাম, সন্দীপ ঘোষ দিতেন খাম। ”
বিজেপির পাশাপাশি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মিথ্যার পর মিথ্যা বলো, সত্য বলার যোগ্যতা নেই। যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, দুর্ভাগ্য আমাদের, মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তারপর থেকে রাস্তায় নামেননি। রাস্তায় নামলেন কখন? যখন একেবারেই ধরা পড়ে গিয়েছেন। গোটা বাংলার মানুষ ১৪ অগস্ট রাস্তায় নেমেছেন, যা দেখেছেন, যা বুঝেছেন, তার আগে ম্যনটনের সভা থেকে বলে দিয়েছিলেন, যা বলেছিলেন, সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে। ওঁর আজকে বলা উচিত ছিল, পুলিশ কী করছিল? পুলিশের মন্ত্রী কে? পুলিশ কমিশনারকে খারিজ করেননি কেন? তা না করতে পেরেই অসত্য কথা বলছেন। মানুষ হাসছে।”