নিউজ ডেস্ক - চলতি বছরে শুধু দ্বাদশ শ্রেণি নয়, রাজ্যের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও ট্যাব ক্রয় করার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন। রাজ্যের সব ট্রেজারিগুলিতে টাকা পাঠানোর কাজও করে নিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর।এবং সিদ্ধান্ত নেওয়াছিল যে আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হবে। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে পরিকল্পনা বাতিল করল শিক্ষা দফতর। আর সব ট্রেজারিগুলিতে সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত বদলের কারণ স্পষ্ট করা হয়নি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। শুধু জানানো হয়েছে যে, ‘প্রশাসনিক কারণে’ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আর আগামী দিনে সেই টাকা কবে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি সরকার।প্রসঙ্গ অনুযায়ী, করোনার পরে ২০২১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ নামে এই প্রকল্পে সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুল গুলিতে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফি বছরই এই টাকা দেওয়া হয়। এমনকি গত বাজেটে রাজ্য ঘোষণা করেছিল যে, চলতি বছর থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাথে সাথে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদেরও ট্যাব বা স্মার্টফোন কিনতে টাকা দেওয়া হবে। আর এর জন্য অতিরিক্ত ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছিল অর্থ দফতর।এর পরে গত জুলাই মাসেই রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা যাতে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেওয়া যায় তার প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। রাজ্যের সব জেলার ট্রেজ়ারির ৮৭টি অ্যাকাউন্টে মোট ১,৩৩৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচের নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি ট্রেজ়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুলের পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়। এর আগে অবধি রাজ্যের সব স্কুল থেকেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করতে নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করে পড়ুয়াদের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বদল আসে। ‘অ্যালটমেন্ট অর্ডার’ বাতিল করে , ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়।
এই সিদ্ধান্তে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরজি কর-কাণ্ডের পরে স্কুল পডুয়ারাও আন্দোলনে। তাতে ভয় পেয়ে আন্দোলন ভাঙার জন্য ঘুষ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। আন্দোলনের আগুন নেভানো যাবে না, বুঝে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত বদলেছেন। তরুণের স্বপ্ন আপাতত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।’’