নিউজ ডেস্ক - পুজোর আগে ভয়ানক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সারা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিশেষজ্ঞ দের মতে শেষ কয়েকদিনের অতি বর্ষণের ফলে এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে দামোদর, মুন্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ, দারকেশ্বের, শিলাবতী নদী । যার ফল স্বরূপ ভয়ানক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে আরামবাগ, ঘাটাল, খানাকুল, পুরশুড়ায়।
সূত্রের খবর, ২,৬৭,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে । এখনও ২ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ।আগামী ২-৩ দিনে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবার আশঙ্কা রয়েছে। নিম্নচাপ মধ্যপ্রদেশে সরে গেলেও নিস্তার নেই। ডিভিসির জলে বিপদে বাঁকুড়া ,পূর্ব বর্ধমান,হুগলী, হাওড়া-সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি।
আরামবাগের হরিণখোলার দর্জিপোতায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ সকাল ৬ টা নাগাদ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। গ্রামের মানুষজন ঘর বাড়ি ছেড়ে উচু জায়গায় আশ্রয়ের জন্য উঠে আসছে । রাজ্য সড়ক ২ অর্থাৎ আরামবাগ - চাঁপাডাঙ্গা রাস্তার মায়াপুর এলাকায় রাস্তায় জল উঠতে শুরু করেছে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন।
দামোদর ও মুন্দশ্বরী এই দুটি নদীর মাঝে রয়েছেন। গত কয়েকদিনে অতি বর্ষণের ফলে নদীর জলস্তর ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে । দামোদর নদে ডিভিসি ছাড়া জলে সমস্যা আরো বৃদ্ধি হয়েছে।ডেবরায় কাসাই নদীর বাঁধ অতিক্রম করে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকেছে। ঘরছাড়া এলাকার একাধিক মানুষ। রাজ্য সড়ককে ওপর এক কোমর জল, যানবাহন প্রায় চলাচল বন্ধ । কাসাই নদীর জলে প্লাবিত বিঘার পর বিঘা জমি।