নিউজ ডেস্ক - সোমবার বিকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার অশোক গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদ্রা এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে মৃত্যু হল এক নাবালকের সাথে আরও তিনজনের। তাদের মধ্যে দু’জন ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক। ঘটনার খবর পেয়ে রাতে হাসপাতালে আসেন গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র। মৃতদের মধ্যে দুই শ্রমিকের নাম হান্নান মিঁয়া, রাজীব রায়। এবং এর সাথে মৃত ওই নাবালকের নাম রোহিত মিঁয়া (১৫)। জানা যাচ্ছে সকলের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার অশোক গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদ্রা ও বৈকণ্ঠপুরে। ঘটনাটি পুরো খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের বাড়িতে বেশ কয়েকদিন আগে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। আর সোমবার সেই ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলতে গিয়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে ওই দুই শ্রমিক ট্যাঙ্কের ভিতরে পড়ে যায়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই দুই শ্রমিককে দেখতে না পেয়ে এলাকারই এক নাবালক ওই ট্যাঙ্কের সামনে উঁকি মারছিল, সেই সময়ে অসাবধানতা বসত সে পড়ে যায় সেপটিক ট্যাঙ্কে। আর এবার বেশ কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এলাকার বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে আসতে তারা তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।প্রাথমিক ভাবে অনুমান দীর্ঘদিন ধরে ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক বন্ধ থাকার জন্য বিষাক্ত কোনও গ্যাস নির্গত হওয়ায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে।