নিউজ ডেস্ক - গতকাল বিকাল ৫ টায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের । আর সেই ২ ঘণ্টার লম্বা বৈঠকে কি কি আলোচনা হল টা এক নজরে দেখে যাক -
১. হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো উন্নতির জন্য সিসিটিভি বসানো, শৌচাগার তৈরির মতো কাজের জন্য রাজ্যের তরফ থেকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে। তবে , স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২.মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে যার নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব , স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্যের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে পাঠানো প্রতিনিধিরাও ওই টাস্ক ফোর্সে যোগদান করবেন।
৩.রোগী কল্যাণ সমিতি সাজানো হবে এবং সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি হবে রোগী কল্যাণ সমিতি।
৪. আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ করা হয়েছে।
৫. সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল গুলিতে গ্রিভেন্স রিড্রেসাল ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।
৬.যে'থ্রেট কালচার' নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে , এদিন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছ। সেটি কীভাবে নির্মূল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
৭.তবে ,স্বাস্থ্য সচিবকে সরিয়ে না দেওয়া এবং ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না করা নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতভেদ হয়েছে।
এই দিনের মিটিংয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ বিকেল ৪টার পরে কলকাতা পুলিশে বদল আনব। বিনীত যেখানে কাজ করতে চেয়েছেন, সেখানে পাঠানো হবে।" আবার, ডিসি নর্থকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।