নিউজ ডেস্ক : গতকাল সন্ধ্যায় সিঙ্গুর থানার অধীন এক বাসিন্দা থানায় এসে অভিযোগ করেন, তার এলাকায় একটি নগ্ন মেয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং কয়েকজন তাকে দেখিয়েছে সেই ছবি। ছবি দেখে তিনি বোঝেন এই ছবির মেয়েটি তারই নাবালিকা কন্যা। এর পর তিনি তার মেয়েকে ভালো করে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন যে, বিগত এক বছর ধরে তার মেয়ে একটা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে। এখানে তার কিছু বন্ধুও আছে। একদিন ইনস্টাগ্রামের একটা ছেলে বন্ধু ওর কাছে একটা ছবি চায়। কয়েকদিন পরে ওর ইনস্টাগ্রামের এক মেয়ে বন্ধু ওকে একটা নগ্ন মেয়ের ছবির সাথে মুখ জুড়ে ওই মেয়ে টিকে পাঠায় ও মেয়েটির একটি নগ্ন ছবি তুলে পাঠানোর জন্যে। না হলে খারাপ ছবির সাথে ওর মুখ জুড়ে যে ছবিটি তৈরি করেছে, সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে। পরদিন থেকে মেয়েটি তার ইনস্টাগ্রামের ছেলে বন্ধু ও মেয়ে বন্ধু দুজনের থেকেই মেসেজ পেতে থাকে। ওরা দুজনই মেয়েটিকে তার নগ্ন ছবি পাঠানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি ভয় পেয়ে ওই ছেলেটি ও মেয়েটির কথা মত কাজ করে। ছবি পাওয়ার পর ওই বন্ধু দুজনই মেয়েটিকে তার ফোন থেকে সব চ্যাট মুছে ফেলতে বলে। এর কয়েকদিন দিন পর থেকে মেয়ে বন্ধুটি ওকে টাকা পাঠাবার জন্য চাপ দিতে থাকে ও বলে সাত হাজার টাকা না দিলে ওর নগ্ন ছবি সবাইকে দিয়ে দেবে। শেষ পর্যন্ত বাচ্চা মেয়েটি তার মা কে সব জানায়। ও তার বাবা থানায় এসে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ওসি সিঙ্গুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আইনের যথাযথ ধারায় মামলা করেন ( Ref. Singur PS case no. 421/24 dated 04.09.24 u/s 77/351(2)/ 79/356(2) BNS and 67 of IT ACT)ও অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে সিঙ্গুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্সপেক্টর সুদীপ্ত সাধুখাঁ নিজেই এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগকারী কে জিজ্ঞাসা বাদের পর ভিকটিম মেয়েটির ও জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেন মহিলা পুলিশ কর্মীর মাধ্যমে। ও আটক করেন এই মামলার অভিযুক্ত ছেলে বন্ধু টিকে। বাজেয়াপ্ত করেন তার মোবাইল ফোন টিকে। সেখান থেকে পাওয়া গেছে প্রামান্য তথ্য। ছেলেটির পরিচয় পত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় ছেলেটিও নাবালক। আজ ওকে জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হয় সমস্ত নথি সহ। এই মামলার সাথে জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত চলছে। ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই কান্ডের পিছনে অন্য কোনো ব্যক্তির হাত আছে কিনা বা অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা।