নিউজ ডেস্ক - অসমের গুয়াহাটির একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার কঙ্কাল। জানা যাচ্ছে, পূর্ণিমা দেব নামে ওই মহিলার মৃত্যু তিনমাস আগে হয়ছে আর তিন মাস ধরে তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে ছিল তার ছেলে। প্রতিবেশীরা ছেলেকে জিজ্ঞাসা করাতেই আসল ঘটনা সকলের সামনে আসে।পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই মহিলার স্বামী রেলে চাকরি করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার একমাত্র ছেলে জয়দীপ দেবকে নিয়ে থাকতেন। প্রতিবেশীদের সাথে খুব একটা মেলামেশা করতেন না তারা। দীর্ঘ সময় ধরেই ওই বৃদ্ধাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। আর তার সাথে, বাড়ি থেকেও বিকট দুর্গন্ধ বের হতে থাকে।
রোজই তাদের ঘরের সামনে আবর্জনার স্তূপ জমতে দেখে এক প্রতিবেশী তার ছেলের কাছে ওই বৃদ্ধার খোঁজখবর নিলে মহিলার ছেলে জানান যে কয়েক মাস আগে তাঁর মা মারা গিয়েছেন। এরপর শেষকৃত্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন যে ঘর পরিষ্কার করার লোক পাননি বলে কাউকে বলেননি। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘর থেকে বৃদ্ধার কঙ্কাল উদ্ধার করেন।
প্রথামিক তদন্ত করার পর পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। ফলে মায়ের মৃত্যুর পরও তিন মাস ধরে দেহ আগলে রেখেছিল।এবং প্রতিদিন বাইরে থেকে খাবার এনে মাকে দিলেন। মাথার খুলির পাশে খাবার, শিব ঠাকুরের ছবি ও প্রদীপ রেখেছিলেন। পুলিশের অনুমান যে, ওই ব্যক্তি ভগবানে বিশ্বাসী হওয়ায় রোজ শিবের নাম জপতেন এই বিশ্বাসে যে কোনওভাবে তাঁর মা আবার জীবিত হয়ে উঠবে।