ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আরামবাগ থানার আইসি রাকেশ সিং।এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আরামবাগ পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হেমন্ত পালকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যাচ্ছে, ওইদিন রাতে দেবাশিসবাবু তাঁর ভাগ্নে সায়ন চক্রবর্তীর খোঁজ করতে বেরলে তিনি দেখেন হেমন্ত পালের সঙ্গে হচ্ছে তাঁর ভাগ্নের। সেই মুহূর্তে তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন হেমন্ত পাল ও তাঁর সঙ্গীরা। মারধরের জেরে দেবাশিসবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত হেমন্ত পাল দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদে ছিলেন তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের চার নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভাপতি হন। আর তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি-সহ নানা অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার ঘোর নিন্দা করে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের হার্মাদ হেমন্ত পাল এর আগেও আমাদের কার্যকর্তাদের ওপর অত্যাচার করেছেন। আমরা বারবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এবার রাস্তায় এক যুবককে মারধর করে মেরেই ফেলল। এই সমস্ত সমাজবিরোধীদের সমাজে থাকার কোনও অধিকার নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় এরা উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধৃত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়ার প্রয়োজন।” তবে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় রাত পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।