নিউজ ডেস্ক : সালটা ছিল ২০২২! ৩ জুন পোলবা থানার ধুমা যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা পারুল পাল লিখিত অভিযোগ করেন যে সন্দেহের বশে রাগে অন্ধ হয়ে তাঁর মেয়ে পূর্ণিমার উপর পর পর কাটারির কোপ মেরে প্রাণঘাতী হামলা চালায় স্বামী প্রদীপ মেটে। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে মেয়ে পূর্ণিমার দুই হাতের চারটে আঙুল বাদ যায় ও মুখের উপরের পাটির দাঁত হারায়।
অভিযোগের তদন্তে নেমে পোলবা থানার পুলিশ ও তদন্তকারী অফিসার সুবীর গোস্বামী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জসিট জমা দেন ও প্রদীপকে গ্রেপ্তার করেন। তারপর জামিনে মুক্ত ছিল অভিযুক্ত। টানা দু, বছর ধরে বিচার পর্ব শেষে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর অভিযোগে স্বামী প্রদীপ মেটেকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ও আর্থিক জরিমানা নির্দেশ দিল আদালত।
শনিবার চুঁচুড়া জেলা আদালতের বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য্য এই নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মামলায় ১৫ জন স্বাক্ষী দিয়েছিলেন । শুধু তাই নয় পুলিশ যে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছেন তারও সাদুবাদ জানিয়েছেন তিনি।