সূত্রের খবর, শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের বাইরে অর্ডোপেডিক বিভাগে ভর্তি এক রোগীর পরিবারের সদস্যরা দাঁড়িয়েছিলেন। আর তাঁর রবিবার ডিসচার্জ হওয়ার কথা ছিল।এরপরই অভিযোগ যে, হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী হকি স্টিক, লাঠি হাতে হাসপাতালে প্রবেশ করে হাসপাতাল চত্বরেও রোগীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বলে। তবে কী কারণে এই হামলা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “প্রথম থেকে আমরা এই কথাটাই বলছি। যদি হাসপাতালের সামগ্রীক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করা যায়, তাহলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে রোগীর পরিজন, কেউই নিরাপদ নয়। হাসপাতাল যদি অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে যায়, তাহলে আর কিছু বলার নেই।”
আহত রোগীর আত্মীয় বলেন, “৩ তারিখ ভর্তি হয়েছিল। ১৩ তারিখ ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। সিকিউরিটি গেটে গিয়ে বলতে, গার্ড বললেন, ৯টার সময়ে বলতে। আমি রাতে যেখানে ঘুমিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে দাঁড়াই। দেখি কতগুলো ছেলে ছুটে আসছে। হঠাৎ করে মার শুরু করে।”
ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলেন, “আমরা যে লড়াইটা লড়ে যাচ্ছি, সেটা হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়েই। হাসপাতালে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে রোগীর বাড়ির লোককে হকিস্টিক দিয়ে মেরে মাথা ফাটাল, তিলোত্তমা কাণ্ডের পরও এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে নিরাপত্তা নিয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”