নিউজ ডেস্ক - মঙ্গলবার একসঙ্গে আরজি করের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক গণ ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু, আরজি করে চিকিৎসকরা আসলে গণ ইস্তফা দিয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য রাজ্য সরকার এখনও অবধি পায়নি। তাই এই বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে না প্রশাসন।আপাতত ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, প্রশাসনের তরফ থেকে ১০ দফা দাবি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই আবহে এইদিন একসঙ্গে ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক গণ ইস্তফা দেন। নবান্ন সূত্রের খবরে জানা যাচ্ছে, "এইভাবে গণ ইস্তফা দেওয়া যায় না। ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দিতে হয়। সেই ইস্তফা গৃহীত হলে, সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না। ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি পেতেও সমস্যা হয়।"
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্যের ২৩টি মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতার ৩টি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠকে নবান্নে আরজি করের অধ্যক্ষ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাপত্তাজনিত কারণে ডেকে পাঠানো হলেও গণ ইস্তফা নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
এইদিকে, সিনিয়র চিকিৎসকদের এই গণ ইস্তফা নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “যে কয়েকজন ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে বিনা নোটিসে কাজ বন্ধের রাজনীতি করছেন, তাঁদের অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে, চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করছেন না কোন স্বার্থে? সরকারি পরিষেবা হয়রান করে রোগীদের বেসরকারি ক্ষেত্রে ঠেলে দিচ্ছেন কারা, চিনে রাখুন।”
Tags
WEST BENGAL