নিউজ ডেস্ক -চন্দননগর ফটকগোড়ায় পোষ্য কুকুরকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে পুজো মণ্ডপে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পুজো কমিটির তরফ থেকে কটূক্তি এক যুবতীকে , যার কারণে সে আত্মঘাতী হন। জানা যাচ্ছে সুশ্রিকা দত্ত নামে ওই মৃত যুবতী এক জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্য ছিলেন। আর ষষ্ঠীর দিন কমিটির এক সদস্য ওই যুবতীকে কুকুর নিয়ে মন্দিরে ঢোকায় ভর্ৎসনা করা হলে ওই যুবতী সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি লেখে কিন্তু ওই যুবতীকে নানা কটূক্তি করা হয়। এরপর ওই যুবতী তার পোস্ট ডিলিট করে দিয়ে অন্য একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, সব মিটে গিয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই পোস্টে সবার কাছে ক্ষমাও চান যুবতী। আর যুবতীর বাবার অভিযোগ, কমিটি থেকে ফোন করেও নানা কথা বলা হয়। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাঁর মেয়ে।ফলে
শনিবার রাতে মা বাবা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গেলে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবতী। এরপর রবিবার দেহের ময়নাতদন্ত হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। চন্দননগর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়।
যুবতীর মৃত্যু নিয়ে ফটকগোড়া পুজো কমিটির সম্পাদক বিপ্লব দাস বলেন, ” এই ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। যুবতীর বাবা যে অভিযোগ করছেন সেটা হয়ত ঘটনার আকস্মিকতায়। পুজো কমিটি এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। সেদিনকার ঘটনাটা খুব সামান্য একটা ঘটনা। ষষ্ঠীর রাত ছিল। খুব ভিড় ছিল। কুকুর নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন যুবতী। অনেক দর্শনার্থী সরাসরি পুজো কমিটির দিকে আঙুল তুলেছিল। তখন যুবতীকে কুকুর নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। ব্যক্তিগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছে, সে বিষয়ে পুজো কমিটি কিছু জানে না। কেউ কিছু মন্তব্য করে থাকলে তার দায়িত্ব পুজো কমিটির নয়।”