ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে, তখন ব্যতিক্রমী অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়ালেন মুসলিমদের একাংশ—দাউদি বোহরা সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দল সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ওয়াকফে সরকারি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংশোধনী আইন নিয়ে এসেছে, যা দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।
দাউদি বোহরা মুসলিমরা মূলত শিয়া মতাবলম্বী এবং ভারতের মুসলিম সমাজের মধ্যেও এক ক্ষুদ্রাংশ। এঁদের বসবাস প্রধানত পশ্চিম ভারতে হলেও, বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে আছেন তাঁরা। শান্তিপ্রিয় ও নির্বিরোধী স্বভাবের জন্য পরিচিত এই সম্প্রদায় বরাবরই সামাজিক সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলার পক্ষে।
অন্যদিকে দেশের বৃহৎ সংখ্যক মুসলিম, বিশেষত সুন্নি সম্প্রদায়ের মানুষজন ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই আইন সংখ্যালঘু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বাড়াবে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে।
এই প্রেক্ষাপটে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের সমর্থন শুধু ব্যতিক্রমী নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণও বটে। কারণ, যখন দেশের বৃহৎ মুসলিম অংশ ওয়াকফ আইন নিয়ে ক্ষুব্ধ, তখন এই ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের সমর্থন মোদি সরকারের প্রতি একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংশোধনী আইনের মূল লক্ষ্য ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছতা ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা। তবে এই আইনের বাস্তব প্রয়োগ ও তার প্রভাব ভবিষ্যতে মুসলিম সমাজের মধ্যে কতটা গ্রহণযোগ্যতা পায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।