"মৃত্যু এখন খুবই সন্নিকট" – হানি মাহমুদের হৃদয়বিদারক বর্ণনা

গাজা, ৭ এপ্রিল ২০২৫ – ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় গাজা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। জীবন যেন প্রতিটি মুহূর্তে অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ সরাসরি সম্প্রচারে বলেন,

“মৃত্যু এখন খুবই সন্নিকট মনে হচ্ছে।”
এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তার পেছনে শোনা যায় একের পর এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ

তিনি জানান, গাজার বাসিন্দারা এখন এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি, যেখানে ঘুম থেকে জেগে থাকা কিংবা বাইরে যাওয়া মানেই প্রাণ হারানোর আশঙ্কা।

“ইসরায়েল শুধু মানুষ হত্যা করছে না, তারা প্রতিটি গাজাবাসীর মনে এক অদৃশ্য মৃত্যু ভীতি তৈরি করছে,” – বলেন মাহমুদ।

বিপর্যস্ত জনজীবন

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে ধ্বংস হয়ে গেছে বহু আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুল এবং রাস্তাঘাট।
হানি মাহমুদ জানান,

“মানুষ দিগ্বিদিক ছুটছে, কেউ জানে না কোথায় নিরাপদ। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”

এমনকি হাসপাতালগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। চিকিৎসা সামগ্রী ও বিদ্যুতের অভাবে আহতদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।

মানসিক চাপ ও আতঙ্ক

গাজার শিশুরা ঘুমাতে পারছে না, প্রতিটি বাচ্চা যুদ্ধের শব্দে বড় হচ্ছে। অভিভাবকরা সন্তানদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, কারণ আশ্রয়ের কোনো নিশ্চয়তা নেই।

“একটা সময় ছিলো যখন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতো। এখন আশ্রয়কেন্দ্রও আর নিরাপদ নয়,” – বলেন মাহমুদ।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা, অবরুদ্ধ গাজাবাসীদের জন্য এক মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপসংহার

হানি মাহমুদের বর্ণনায় উঠে আসে গাজার বাস্তবতা – মৃত্যু যেন এখন শুধু সম্ভাবনা নয়, এক অনিবার্যতা। প্রতিটি মুহূর্তে ধ্বংস, মৃত্যু ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গাজাবাসী। বিশ্বের নীরবতা আর ইসরায়েলের হামলা মিলে একটি জাতিকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন