দিনহাটায় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, দিনহাটা:আবারও উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোচবিহারের দিনহাটায়। শনিবার (৬ এপ্রিল) গভীর রাতে দিনহাটা মহকুমার নাজিরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য যূথিকা বর্মনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে।

যূথিকা বর্মনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এরপর পাথর ছুঁড়ে জানালার কাচ ভেঙে দেয়। পরে তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ও সোনার গয়না লুট করে। বাড়ির ভেতরে থাকা একটি স্কুটারও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার খবর পেয়েই রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। তারা পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে বিজেপির আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের নাজিরহাট ২ অঞ্চল সভাপতি মিলনমোহন বর্মন বলেন, "তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে বদনাম করার উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যে ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমাদের দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।"

প্রসঙ্গত, দিনহাটায় রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ দেখা যায়। দিনহাটা আদালত চত্বরে সেই বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। ২০১৭ সালে ভেটাগুড়িতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের মামলার শুনানিতে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন নিখিলরঞ্জন দে। সেখানেই তৃণমূল কর্মীরা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।

দিনহাটার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের প্রমাণ করল, দুই প্রধান দলের মধ্যে বিবাদ এখনও মেটেনি। যূথিকা বর্মনের বাড়িতে হামলার ঘটনা আদৌ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ঘটেছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন