ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৫ কেন বাতিল করা প্রয়োজন? — মড়ার, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়ায় নওসাদ সিদ্দিকির উদ্যোগে আলোচনা সভা
এই সভায় মূলত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়—
১. রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল এবং তার পেছনে লুকিয়ে থাকা দুর্নীতি ও রাজনৈতিক বঞ্চনার প্রসঙ্গ
২. বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৫ এবং কেন এই আইন অবিলম্বে বাতিল করা প্রয়োজন
সভায় বক্তারা প্রশ্ন তোলেন— এতো বিপুল সংখ্যক চাকরি বাতিল হওয়া কি শুধুই প্রশাসনিক ব্যর্থতা? নাকি এর পেছনে রয়েছে গভীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার? চাকরি হারানো হাজার হাজার যুবক-যুবতীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশাসনের নীরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৫ প্রসঙ্গে নওসাদ সিদ্দিকি বলেন, “এই সংশোধনী আইন সংখ্যালঘু সম্পত্তি রক্ষার বদলে তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে একদিকে ওয়াকফ বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন কমানো হচ্ছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বাড়ানো হচ্ছে। এটা আমাদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্র।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও যুব সমাজের ব্যাপক উপস্থিতি এই সভায় লক্ষ্য করা যায়। অনেকে নিজেদের ক্ষোভ, আশঙ্কা ও মতামত প্রকাশ করেন। সবমিলিয়ে, এই আলোচনা সভা যেন বর্তমান রাজনৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল।
নওসাদ সিদ্দিকি এইসব প্রশ্নকে রাজ্য সরকারের সামনে জোরদারভাবে তুলে ধরার আশ্বাস দেন এবং জানান, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন।