মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল ২০২৫: পশ্চিমবঙ্গে নয়া ওয়াকফ আইন কার্যকর হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার মেদিনীপুরে মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডি) একটি রিভিউ বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে মেদিনীপুর ও খড়গপুরের উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত সমাধানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী ওয়াকফ আইন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ ও ফিরহাদের বক্তব্য
রাজ্যজুড়ে, বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সুতি এলাকায়, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখা গেছে। কোথাও কোথাও অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে রেজুলিউশন পাস করা হয়েছিল এবং তা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তারপরও বিলটি পাস করা হয়েছে, যা অন্যায় ও অসাংবিধানিক। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি তাদের হাতেই থাকবে। বিজেপি এটি করেছে হিন্দু ও মুসলিম ভোটের জন্য। আমরা এর বিরোধিতা করব।”
তিনি আরও জানান, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে সংখ্যালঘুরা কষ্ট পান। তাই বাংলায় এই আইন কার্যকর হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”
মেদিনীপুরে উন্নয়নের আলোচনা
বৈঠকে মেদিনীপুর ও খড়গপুরের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এলাকার সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফিরহাদ হাকিম জানান, এমকেডি-এর মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাজ্যের অবস্থান
ওয়াকফ আইন নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের এই বক্তব্য রাজ্য সরকারের দৃঢ় অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এই ঘোষণা রাজ্যে চলমান বিক্ষোভের পটভূমিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।